৭১তম লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওপেন ডোরস প্রকল্পের আওতায় ‘ওপেন ডোরস হাব’এ ৮ টি ফিল্ম প্রজেক্টকে নির্বাচিত করে তাদের নাম প্রকাশ করেছে ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষ। গোল্ডেন গ্লোবজয়ী আফগান পরিচালক সিদ্দিক বারমাকের মতো পরিচালকের পাশাপাশি তালিকায় নাম রেয়েছে বাংলাদেশী পরিচালক মেহেদী হাসান‘র ফিল্ম প্রজেক্ট ‘স্যান্ড সিটি’র। অন্যদিকে ‘ওপেন ডোরস ল্যাব’ বিভাগে অংশগ্রহণের জন্যে বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ‘মাটির প্রজার দেশে’খ্যাত প্রযোজক আরিফুর রহমান।
ওপেন ডোরস হাবে নির্বাচিত ৮ টি প্রজেক্টকে বিভিন্ন পুরষ্কারে পুরষ্কৃত করবেন ওপেন ডোরস জুরি বোর্ড। এছাড়াও এবছরের আগস্ট মাসে উৎসব চলাকালীন সময়ে প্রজেক্টগুলো প্রদর্শিত হবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সম্ভাবনাময়ী প্রযোজকদের কাছে যার মাধ্যমে প্রেজেক্টগুলোর সহ-প্রযোজক পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে বহুগুণে।

ঢাকার এক বৌদ্ধ ভিক্ষু, একজন নারী এবং একজন পুরুষের জীবনের আলাদা তিনটি গল্প, তাদের মধ্যে মিল একটিই- বালি। এমনই এক গল্পকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে প্রজেক্ট ‘স্যান্ড সিটি’। খনা টকিজ প্রযোজিত এই ছবিটির প্রযোজকের দায়িত্বে রয়েছেন রুবাইয়াত হোসেন।
“দক্ষিণ এশিয়ার প্রযোজকদের নিবিড় পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই এখানে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণের সংস্কৃতি বৃদ্ধি করা সম্ভব।” ওপেন ডোরস ল্যাব নিয়ে এমনটাই জানান ওপেন ডোরস প্রজেক্টের প্রধান সোফি বোরডন। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত আরিফুর রহমান তার তিনটি প্রজেক্ট নিয়ে সেখানে যাবেন। যার মধ্যে ফিচার ফিল্ম ‘প্যারাডাইজ’ এবং ‘সেভেন্থ হেভেন’ ও ‘মেমোরিস ইন ওয়ান টুয়েলফথ’ নামে দু’টি ডকুমেন্টারি রয়েছে। ওপেন ডোরস ল্যাব উন্নতমানের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি দেশের বাইরের পরিচালক, প্রযোজক পরিবশকদের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং যৌথভাবে কাজ করার সম্ভাবনা বাড়াবে বলে মনে করেন আরিফুর রহমান।

উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, ভূটান, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে ফোকাস কান্ট্রি হিসেবে ঘোষণা করে লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল তিনবছর মেয়াদী ওপেন ডোরস প্রজেক্ট চালু করেছিল ২০১৬ সালে। প্রতিবছর ১ থেকে ১১ আগস্ট সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো শহরে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী এই চলচ্চিত্র উৎসব।
Photo credit: Locarno Festival, Kuhu Mannan